Thursday, October 2, 2025

নদীর ধারে এক মৃতদেহ

নদীর ধারে এক মৃতদেহ md babo hossan bahadur
মুম্বাইয়ের এক নদীর ধারে এক মৃতদেহ পাওয়া গেল। খবর পেয়ে এসিপি প্রদ্যুম্ন, দয়া এবং অভিজিৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন। নদীর শান্ত জলের পাশে পড়ে থাকা মৃতদেহটি দেখে এসিপি প্রদ্যুম্ন বললেন, "দয়া, লাশটাকে ভালো করে পরীক্ষা করো। অভিজিৎ, আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করো।"
Page 2 / 10 ডাক্তার সালোঙ্খে ফরেনসিক ভ্যান নিয়ে এলেন। তিনি মৃতদেহটি পরীক্ষা করে বললেন, "স্যার, মনে হচ্ছে না এই লোকটা নদীতে ডুবে মারা গেছে।" এসিপি প্রদ্যুম্ন অবাক হয়ে বললেন, "তাহলে ও কীভাবে মারা গেল?"
Page 3 / 10 ল্যাবে ফিরে এসে ডাক্তার সালোঙ্খে মাইক্রোস্কোপে কিছু পরীক্ষা করলেন। তিনি এসিপিকে ফোন করে জানালেন, "স্যার, ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে এই লোকটা নদীতে ডুবে মারা যায়নি। এর ফুসফুসে ক্লোরিনযুক্ত জল পাওয়া গেছে। মনে হচ্ছে একে কোনো সুইমিং পুলে ডুবিয়ে মারা হয়েছে।"
Page 4 / 10 এসিপি প্রদ্যুম্ন অভিজিৎকে বললেন, "অভিজিৎ, একটা সুইমিং পুলের খোঁজ করো। এমন কোনো জায়গা যেখানে এই লোকটা যেতে পারে।" অভিজিৎ মৃতদেহের পকেট থেকে একটি বিলাসবহুল হোটেলের ভিজিটিং কার্ড পেলেন। "স্যার, মনে হচ্ছে এই লোকটা কোনো বড় হোটেলে কাজ করত বা সেখানে যেত," অভিজিৎ বললেন।
Page 5 / 10 অভিজিৎ হোটেলটির লবিতে গিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললেন। তিনি জানতে পারলেন, মৃত ব্যক্তির নাম রোহান। সে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিক, মিস্টার ভার্মার ব্যক্তিগত সহকারী ছিল। মিস্টার ভার্মা প্রায়ই এই হোটেলে আসতেন।
Page 6 / 10 দয়া হোটেলের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। একজন পরিচারিকা ভয়ে ভয়ে বলল যে সে রোহানকে মিস্টার ভার্মার দেহরক্ষী জগদীশের সাথে সুইমিং পুলের কাছে ঝগড়া করতে দেখেছিল।
Page 7 / 10 এসিপি প্রদ্যুম্ন, দয়া এবং অভিজিৎ মিস্টার ভার্মার বাড়িতে গেলেন। মিস্টার ভার্মা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু এসিপি প্রদ্যুম্ন বললেন, "মিস্টার ভার্মা, আপনার সহকারীকে সুইমিং পুলে খুন করা হয়েছে। আপনার দেহরক্ষী জগদীশকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাই।"
Page 8 / 10 জগদীশকে সিআইডি অফিসে নিয়ে আসা হলো। প্রথমে সে কিছুই স্বীকার করল না। কিন্তু দয়া যখন তাকে বোঝালেন যে তার বস তাকে বাঁচাবে না, তখন সে ভেঙে পড়ল।
Page 9 / 10 জগদীশ কাঁদতে কাঁদতে বলল, "রোহান স্যারের কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছিল। স্যার আমাকে তাকে চুপ করাতে বলেছিলেন। আমি তাকে সুইমিং পুলে ধাক্কা দিয়েছিলাম। কিন্তু সে মারা গেলে আমি ভয় পেয়ে লাশটা নদীতে ফেলে দিয়েছিলাম।"
Page 10 / 10 এসিপি প্রদ্যুম্ন জগদীশকে গ্রেফতার করলেন। তিনি দয়া এবং অভিজিতের দিকে তাকিয়ে বললেন, "নদীর পারের মিথ্যাটা ধরা পড়ে গেল। কোনো অপরাধই চিরকাল গোপন থাকে না।" সিআইডি দল আরেকটি রহস্যের সমাধান করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। Start over

No comments:

Post a Comment

নীরব ক্যামেরার ছায়া

নীরব ক্যামেরার ছায়া Page 1 / 10 অধ্যায় ১: নীরব ক্যামেরা। রাত তখন প্রায় দুটো। দিল্লির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে এক তীব্র উত্তেজনা। নিখোঁজ ট...