Thursday, October 2, 2025

ইলিউশনের কঙ্কাল

ইলিউশনের কঙ্কাল md babu hossan bahadur
একটি পুরোনো বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল। হঠাৎ শ্রমিকরা একটি প্রাচীন কূপের সন্ধান পেল। কূপের ভেতর থেকে একটি কঙ্কাল বের হতেই সবাই চমকে উঠল। খবর পেয়ে এসিপি প্রদ্যুম্ন তাঁর দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন।
এসিপি প্রদ্যুম্ন কঙ্কালটি দেখে বললেন, "এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। মনে হচ্ছে ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো কোনো রহস্য। দয়া, তুমি বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলো। অভিজিৎ, তুমি আশপাশের এলাকাটা ভালো করে দেখো।"
ডাক্তার সালোঙ্খে ঘটনাস্থলে এসে কঙ্কালটি পরীক্ষা করা শুরু করলেন। "স্যার, কঙ্কালটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরোনো," তিনি বললেন। পরীক্ষা করতে করতে তিনি কঙ্কালের হাতে একটি পুরোনো, মরিচা পড়া লকেট দেখতে পেলেন।
অভিজিৎ লকেটটি ফরেনসিক ল্যাবে নিয়ে গেলেন। লকেটের ভেতরে একটি অস্পষ্ট লেখা ছিল। বহু চেষ্টার পর অভিজিৎ লেখাটি পড়তে পারলেন: "রাজিব ও রিনা, ১৯৭৫।" এটি একটি দীর্ঘ-হারানো ভালোবাসার গল্পের সূত্র।
দয়া বাড়ির মালিকের কাছ থেকে জানতে পারলেন, ৫০ বছর আগে এই বাড়িতে একটি বড় পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল। তিনি সেই সময়ের একজন বৃদ্ধ পারিবারিক সদস্য, বিমল, এর খোঁজ পেলেন।
এসিপি প্রদ্যুম্ন অভিজিৎ ও দয়ার কাছ থেকে সব তথ্য নিলেন। "রাজিব ও রিনার ভালোবাসা আর সেই পারিবারিক বিবাদ—এই দুটো নিশ্চয়ই কোনোভাবে সম্পর্কিত," তিনি বললেন। "মনে হচ্ছে রিনার পরিবার এই সম্পর্কটা মেনে নেয়নি।"
অভিজিৎ ও দয়া আবার বিমলের কাছে গেলেন। "বিমল বাবু, আমরা জানি আপনি রিনা এবং রাজিবকে চিনতেন," অভিজিৎ বললেন। বিমল প্রথমে অস্বীকার করলেন, কিন্তু অভিজিৎ লকেটের ছবি দেখালে তিনি চমকে উঠলেন।
দয়া কঠিন গলায় বললেন, "বিমল বাবু, রিনা আপনার বোন ছিল। আপনিই এই সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেননি, তাই না? ৫০ বছর আগে আপনিই রিনাকে খুন করে তার দেহ এই কূপের ভেতর ফেলে দিয়েছিলেন।"
বিমল কাঁদতে কাঁদতে স্বীকার করলেন। "হ্যাঁ, আমিই রিনাকে খুন করেছিলাম। আমি চাইনি আমার বোন একজন সাধারণ ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যাক। আমি ভেবেছিলাম এই গোপনীয়তা চিরকাল লুকিয়ে থাকবে।"
এসিপি প্রদ্যুম্ন বললেন, "৫০ বছর পর হলেও সত্যের জয় হয়েছে। কোনো অপরাধই চিরকাল গোপন থাকে না।" বিমলকে গ্রেফতার করা হলো। সিআইডি দল আরেকটি জটিল রহস্যের সমাধান করে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

No comments:

Post a Comment

নীরব ক্যামেরার ছায়া

নীরব ক্যামেরার ছায়া Page 1 / 10 অধ্যায় ১: নীরব ক্যামেরা। রাত তখন প্রায় দুটো। দিল্লির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে এক তীব্র উত্তেজনা। নিখোঁজ ট...