Monday, October 6, 2025

গুপ্তধন

গুপ্তধন By. Bahadur
Page 1 / 10 আয়ন বাবু বললেন, "সময় নষ্ট করা যাবে না। আমি এখনই ড. সেনগুপ্তকে ফোন করছি। এই জ্ঞানভাণ্ডার আমাদের একার নয়, গোটা জাতির সম্পদ।" রূপম তার ট্যাবলেট দিয়ে স্ক্যান করে তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করতে শুরু করল। কিন্তু হঠাৎ পাথরের চকচকে বেদিটি জোরে কেঁপে উঠল।
Page 2 / 10 রূপম চিৎকার করে বলল, "স্যার! কেউ এই সিস্টেমে ঢোকার চেষ্টা করছে! আমি একটা ব্যাকডোর অ্যালার্ট পাচ্ছি! মনে হচ্ছে, কেউ বাইরে থেকে এর সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং আমাদের ভেতরের প্রবেশ তারা টের পেয়ে গেছে।"
Page 3 / 10 দরজা সরে যাওয়ার ধাতব শব্দ হল। অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছে একজন লোক—কৌশিক! তার চোখে হিংস্র জেদ। সে একটা নীল রঞ্জক ভরা ছোট থলি উঁচু করে ধরে বলল, "আমি জানতাম তোমরা আসবে। এই রঞ্জকই আসল চাবি! ডিজিটাল জ্ঞানভাণ্ডার আমার চাই, তোমাদের নয়।"
Page 4 / 10 আয়ন বাবু শান্ত স্বরে বললেন, "কৌশিক, এই জ্ঞান চুরি করা যায় না। এটা প্রযুক্তির অপব্যবহার। ড. মিত্রের উদ্দেশ্য ছিল জ্ঞান সংরক্ষণ, তোমার মতো লোভী মানুষের হাতে তুলে দেওয়া নয়।" কৌশিক হেসে উঠল, "জ্ঞান নয়, স্যার। আমি এর প্রযুক্তি চাই! এই বেদি কীভাবে কাজ করে, সেটাই আমার দরকার।"
Page 5 / 10 রূপম দ্রুত তার ট্যাবলেটটি তুলে ধরল। "আমরা সব তথ্য এনক্রিপ্ট করে দিয়েছি, কৌশিক! তুমি যতই চেষ্টা করো, এই জ্ঞানভাণ্ডারের একটি অক্ষরও এখন তোমার কাছে অর্থহীন। এর মধ্যে ঢোকার শেষ সুযোগ ছিল 'SACDEZ' পাসওয়ার্ডটি।"
Page 6 / 10 কৌশিক বুঝতে পারল তার সময় ফুরিয়ে আসছে। সে দাঁতে দাঁত চেপে নীল রঞ্জকের থলিটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলল। "আজ নয়তো কাল, আমি ঠিক এর রহস্য বের করব!" বলেই সে দ্রুত মই বেয়ে আবার উপরে ওঠার চেষ্টা করতে লাগল। রূপম আর আয়ন বাবু তাকে ধরতে গেলেন।
Page 7 / 10 তারা দুজনেই পিছু ধাওয়া করলেন, কিন্তু কৌশিক তাদের নাগালের বাইরে চলে গেল। আয়ন বাবু হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, "তাকে ধীর করার জন্য একটি উপায় চাই! আমাদের কাছে সেই পুঁথির ডিজিটাল কপি আছে, সেটাই যথেষ্ট। দ্রুত চলো রূপম, জ্ঞানভাণ্ডারটিকে নিয়ে আমরা বের হয়ে পড়ি!"
Page 8 / 10 হুগলী নদীর পাড়ে সূর্যের প্রথম আলো এসে পড়েছে। তারা যখন মূর্তির গোপন পথের সামনে পৌঁছলেন, তখন দেখলেন কৌশিক পালিয়ে গেছে। কিন্তু আয়ন বাবু হঠাৎ নদীর পাড়ে একটি সাদা কাপড়ের দিকে ইঙ্গিত করলেন। "রূপম, ওখানে কীসের যেন একটা ছাপ দেখা যাচ্ছে, এটা কি কৌশিক ফেলে গেল?"
Page 9 / 10 রূপম কাপড়টি সরাতেই দেখল, তার নিচে কৌশিকের সেই পুরোনো ট্যাবলেটের একটি ভাঙা অংশ পড়ে আছে। তার সব গোপন যোগাযোগ এবং পরিকল্পনা তাতে ছিল! "আমাদের কাছে এখন প্রমাণ আছে স্যার," রূপম বলল। "কৌশিক ধরা পড়বেই। আমরা জ্ঞানভাণ্ডার এবং ওকে ধরার চাবিকাঠি দুটোই পেলাম!"
Page 10 / 10 কয়েক ঘণ্টা পর, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দল এসে পৌঁছাল। চকচকে জ্ঞানভাণ্ডারটি সাবধানে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। আয়ন বাবু ও রূপম একসাথে দাঁড়িয়ে সেই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হতে দেখলেন। "আমাদের অ্যাডভেঞ্চার শেষ হয়নি," আয়ন বাবু রূপমের কাঁধে হাত রেখে বললেন। "নতুনভাবে শুরু হলো। ইতিহাস এবার ডিজিটাল পথে চলবে।"
Start over

No comments:

Post a Comment

প্রাচীন পুঁথির গুপ্তধন By. Bahadur

প্রাচীন পুঁথির গুপ্তধন By. Bahadur Page 1 / 10 হুগলী নদীর ধারে ভোরের আলো সবে ফুটেছে। কলকাতা শহরের ব্যস্ততা তখনও শুরু হয়নি। কিন্তু সে...